Contents:
The Ajwa date variety is one considered of utmost sacred importance. This date is now grown amidst the dunes of Jaisalmer providing farmers with a livelihood in arid regions.
Beneficial for diabetics and pregnant women, Ajwa is a delicious, bite-sized delicacy high in nutrients like iron and potassium. No added sugar. Gluten free. Vegan. Keto-friendly. No added preservatives. Just pristine goodness.
Consumption & Storage:
Our Ajwa dates are a timeless, guilt free treat and a healthy substitute for refined sugar. Consume within 25 to 30 days ideally. Store in a cool, dry place away from direct sunlight.
Size : 250g, 500g, 1 Kg, 2 Kg, 5 Kg
পৃথিবীতে সাড়ে চারশ’ জাতেরও বেশি খেজুর পাওয়া যায়। তামার বা খেজুর শব্দটি আল কোরআন ও রাসূলের বাণীতে অনেক বার এসেছে। হজরত মারইয়াম (আ.) যখন প্রসব-বেদনায় কাতর হয়ে যান, সে সময়ে তিনি খেজুর গাছের নিচে অবস্থান করছিলেন, তখন আল্লাহ তাকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘তুমি এ খেজুর গাছের কাণ্ড তোমার দিকে নাড়া দাও, (দেখবে) তা তোমার ওপর পাকা ও তাজা খেজুর ফেলছে।’ -সূরা মারইয়াম: ২৫
খেজুরের উপকারিতায় হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনেক বাণী এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেহ সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন তাকে কোনো বিষ ও যাদু ক্ষতি করতে পারবে না। আজওয়া খেজুর হলো মদিনার উৎকৃষ্ট মানের খেজুর।’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
আলেমরা আবশ্য আজওয়া ব্যতীত অন্য খেজুরের মাঝেও এমন উপকারিতা পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেছেন। খেজুর তিনটি, পাঁচটি বা সাতটি বেজোড় করে খাওয়ায় শরীরের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। এজন্য হাদিসে বেজোড় সংখ্যার কথা বলা হয়েছে।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আলিয়ার (মদিনার গ্রাম) আজওয়া খেজুরে রোগ নিরাময়কারী এবং প্রাতঃকালীন প্রতিষেধক।’ –সহিহ মুসলিম
বলা হয়ে থাকে, বছরে যতগুলো দিন আছে, খেজুরে তার চেয়ে বেশি গুণ আছে।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিনি রোজাদারকে খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার পরামর্শ দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তি খেজুর পাবে সে যেন তা দিয়ে ইফতার করে। আর যদি না পায়, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করবে কেননা তা অধিক পরিষ্কারক ও পবিত্র। -সুনানে আবু দাউদ ও তিরমিজি
খেজুর জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। রমজান মাসের ইফতারিতে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করতে দেখা যায়। ইফতারিতে খেজুর গ্রহণের
ব্যাখ্যা হলো, সারাদিন রোজা থাকার কারণে শরীরের যে খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়, শরীরের যে খাদ্য শক্তির প্রয়োজন হয় খেজুর তা অল্প সময়ের মধ্যেই পূরণ করে। কেননা খেজুর খুব সহজে হজম হয়ে শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে থাকে।খেজুরের স্বাস্থ্য উপযোগিতা অনেক। খেজুরের মধ্যে প্রাকৃতিক আঁশের আধিক্য থাকায় এর উপকারিতা ও গুরুত্ব অনেক। গবেষকদের মতে শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুরেই সবচেয়ে বেশি পলিফেনল থাকে। বিপজ্জনক অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে পলিফেনল। খেজুরের চেয়ে ভালো পটাশিয়াম উৎস আর হয় না। এটা সোডিয়ামেরও ভালো উৎস। কিডনি ও স্ট্রোক জটিলতা এড়াতে এর ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে চিকিৎসকরা প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
খেজুরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আইরন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান যা সুস্বাস্থের জন্য অতি দরকারি।
এ ছাড়াও খেজুরে আরও যে সব উপকারিতা আছে-
-স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
-হৃদরোগীদের জন্য খেজুর বেশ উপকারী।
-খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী।
-হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক।
-খেজুর রুচি বাড়ায়।
-খেজুর ত্বক ভালো রাখে।
-খেজুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
-খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
-পক্ষাঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী।
-খেজুর ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে।
-খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে। প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
-খেজুরে কোলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
-নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা অনেক।
-খেজুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করে।
-খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমার জন্য উপকারী।
-উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাটসম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।-খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে।
-যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।
-খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রক্তে লৌহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
-শিশুদের জন্যও খেজুর খুব উপকারী।
রমজান মাসে ইফতারের তালিকায় খেজুরের পাশাপাশি সারা বছর পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখুন, তাহলে সুস্থ জীবন-যাপন সহজ হবে।
আজওয়া খেজুর (Ajwa Dates) সৌদি আরবের সবচেয়ে পরিচিত খেজুর। সৌদি আরবের প্রসিদ্ধ খেজুরগুলোর মধ্যে এই আজওয়া খেজুর অন্যতম। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত মদীনায় এই খেজুর বিশেষভাবে পাওয়া যায়।
আজওয়া খেজুর ভালোভাবে চেনার উপায় হলো এটি দেখতে কালো কুচকুচে ধরনের হবে। খেজুরের আকার নিয়ে বলতে গেলে, এই আজওয়া খেজুর একটু বড় সাইজের হয় কিন্তু মাঝে মাঝে হালকা ছোটও হতে পারে। আপনি আজওয়া খেজুরে লালচে ভাব,ভেজা ভেজা এবং আকারে অনেক ছোট হলে বুঝতে পারবেন যে এগুলো আসল আজওয়া খেজুর নয় বা নিম্নমানের খেজুর। এমন খেজুর কেনা থেকে বিরত থাকুন।
আমরা অনেকেই জানি খেজুর খাওয়া ভালো এবং আমাদের শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে। কিন্তু কখন বা কি নিয়মে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে, তা অনেকে ঠিকমতো জানি না। সাধারণত, সকালে খেজুর খেলে তা আমাদের সাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। এতে সারাদিন আমাদের দেহে কাজ করার শক্তির যোগান হয়। তাছাড়া, ব্যায়াম করার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে খেজুর খেলে দেহে সহজে ক্লান্তি আসবে না, পাশাপাশি পেট থেকে দূষিত পদার্থ বা ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যাবে।